রিওতে জি-২০ সম্মেলন: বৈশ্বিক উষ্ণতা ও কূটনৈতিক উত্তেজনার কেন্দ্রে বিশ্বনেতারা
- By Jamini Roy --
- 19 November, 2024
ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে জি-২০ সম্মেলনে বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে উত্তেজনা চলছে। সম্মেলনের কেন্দ্রীয় আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, দারিদ্র্য নিরসন, বৈশ্বিক অর্থনীতির উন্নয়ন এবং রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত।
বৈশ্বিক অর্থনীতির ৮৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণকারী জি-২০ দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একমত হতে চেষ্টা করছে। তবে কপ২৯ সম্মেলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত জলবায়ু অর্থায়নের তহবিল কিভাবে এবং কোথায় ব্যয় হবে, তা নিয়ে মতবিরোধ রয়ে গেছে।
জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে রবিবার স্থানীয় সময় রিও ডি জেনিরো পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানেরা। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা অতিথিদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিভিন্ন বিশ্বনেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং জলবায়ু অর্থায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
মোদি তার বক্তব্যে বলেন, "বিশ্বব্যাপী সংঘাতের কারণে গ্লোবাল সাউথের দেশগুলো খাদ্য, জ্বালানি ও সার সংকটে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জি-২০-কে এসব সমস্যা সমাধানে সক্রিয় হতে হবে।"
বাকুতে চলমান জাতিসংঘের কপ২৯ সম্মেলন জলবায়ু অর্থায়নে শত শত কোটি ডলারের তহবিল সংগ্রহের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। জি-২০ দেশগুলো, যেগুলো জলবায়ু অর্থায়নে প্রধান ভূমিকা পালন করে, সেসব দেশের নেতারা এই তহবিলের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করছেন।
বিশ্ব নেতারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ন্ত্রণে বহুজাতিক উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর অর্থায়নের প্রসঙ্গে আলোচনা করেছেন। তবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঠেকাতে তহবিল ব্যবহারে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা এখনো অধরা।
জি-২০ সম্মেলনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত এবং গাজার চলমান সংকট। বৈশ্বিক উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ এবং সংঘাতমুক্ত বিশ্ব গঠনের উপায় নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন নেতারা।
- ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ব্রাজিল, সিঙ্গাপুর এবং স্পেনসহ বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
- সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওং-এর সঙ্গে কৌশলগত আলোচনা নিয়ে মোদি তার এক্স অ্যাকাউন্টে লেখেন, "উৎকৃষ্ট আলাপচারিতা হয়েছে।"
- স্পেনের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো সানচেজের সঙ্গে বৈঠকেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন মোদি।
আজ মঙ্গলবার জি-২০ সম্মেলনের শেষ দিনে, দারিদ্র্য নিরসন, খাদ্য নিরাপত্তা, এবং জলবায়ু অর্থায়নসহ নানা বিষয়ে যৌথ বিবৃতি দেওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
বিশ্বনেতারা এই সম্মেলনের মাধ্যমে বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।